যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে জন্য পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছে। এর ফলে দু’দেশের প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ক্ষেত্র তৈরি হবে। পাকিস্তানের ডেইলি টাইমসের প্রতিবেদনে এই কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে একজন ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গত সপ্তাহে রাওয়ালপিন্ডিতে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি বৈঠকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা এ ধরনের কাঠামো গঠন নিয়ে আলোচনা করেন।
গত ১ অক্টোবর কাবুলে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া এবং আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির মধ্যে আলোচনার সময় দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কূটনৈতিক, সামরিক, গোয়েন্দা, অর্থনৈতিক ও শরণার্থী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, ‘সামরিক নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে এ ধরনের কাঠামোর অধীনে আলোচনা করেছেন এবং শিগগিরিই অন্যান্য গ্রুপ পরস্পরের উদ্বেগ ও সমস্যা নিরসনের জন্য নিয়মিত ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করবে।’
গতসপ্তাহে দু-দিনব্যাপী নিরাপত্তা আলোচনায় পাকিস্তান ও আফগান সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন। তবে কোন পক্ষ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি এবং কর্মকর্তারাও সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যান।
রিপোর্টে বলা হয় যে, আফগান সেনাপ্রধান জেনারেল মো. হাবিব হেশারী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনায় সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন সামরিক অপারেশন্স’র মহাপরিচালক মেজর সাহেদ শামসাদ মির্জা।
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর বলেন, পেশোয়ারে একটি কৃষি কেন্দ্রের উপর ১ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানি পক্ষ আফগান প্রতিনিধি দলের কাছে উদ্বেগ জানায়। এই হামলায় সাত ছাত্রসহ ৯ জনকে নিহত ও ৩৫জন আহত হয়।
পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলে সক্রিয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী টিটিপি হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেন। টিটিপির প্রধান মৌলভি ফজলুল্লাহর সাথে বসে থাকা অবস্থায় হামলাকারীদের ছবি ও হামলার একটি ভিডিও অনলাইনে ছাড়া হয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আফগান সীমান্ত অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদের দীর্ঘদিনের দাবী আবারো তুলে ধরেন। আফগানদের পক্ষ থেকে তাদের সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন প্রস্তাব নিয়ে আফগান সরকারের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুত্র : bn.southasianmonitor.com
প্রতিবেদনে একজন ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গত সপ্তাহে রাওয়ালপিন্ডিতে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি বৈঠকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা এ ধরনের কাঠামো গঠন নিয়ে আলোচনা করেন।
গত ১ অক্টোবর কাবুলে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া এবং আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির মধ্যে আলোচনার সময় দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কূটনৈতিক, সামরিক, গোয়েন্দা, অর্থনৈতিক ও শরণার্থী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, ‘সামরিক নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে এ ধরনের কাঠামোর অধীনে আলোচনা করেছেন এবং শিগগিরিই অন্যান্য গ্রুপ পরস্পরের উদ্বেগ ও সমস্যা নিরসনের জন্য নিয়মিত ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করবে।’
গতসপ্তাহে দু-দিনব্যাপী নিরাপত্তা আলোচনায় পাকিস্তান ও আফগান সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন। তবে কোন পক্ষ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি এবং কর্মকর্তারাও সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যান।
রিপোর্টে বলা হয় যে, আফগান সেনাপ্রধান জেনারেল মো. হাবিব হেশারী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনায় সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন সামরিক অপারেশন্স’র মহাপরিচালক মেজর সাহেদ শামসাদ মির্জা।
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর বলেন, পেশোয়ারে একটি কৃষি কেন্দ্রের উপর ১ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানি পক্ষ আফগান প্রতিনিধি দলের কাছে উদ্বেগ জানায়। এই হামলায় সাত ছাত্রসহ ৯ জনকে নিহত ও ৩৫জন আহত হয়।
পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলে সক্রিয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী টিটিপি হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেন। টিটিপির প্রধান মৌলভি ফজলুল্লাহর সাথে বসে থাকা অবস্থায় হামলাকারীদের ছবি ও হামলার একটি ভিডিও অনলাইনে ছাড়া হয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আফগান সীমান্ত অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদের দীর্ঘদিনের দাবী আবারো তুলে ধরেন। আফগানদের পক্ষ থেকে তাদের সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন প্রস্তাব নিয়ে আফগান সরকারের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুত্র : bn.southasianmonitor.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন