Profile

সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

কিশোরীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আওয়ামীলীগ নেতা আটক, গণধোলাই

কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ যৌনতায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় আল হেলাল নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে হাতেনাতে আটকের পর গণধোলাই দেয়া হয়েছে। বগুড়ার শেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন গ্রামবাসী।
কিন্তু স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক ডেকে কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪০ হাজার টাকা! এভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয় বলে অভিযোগ মিলেছে।
গত রোববার রাতে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকন্দ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ভাগবাটোয়ার টাকা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় সোমবার দুপুরের পর ঘটনাটি জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড়। আওয়ামী লীগ নেতা আল হেলাল ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের শ্যামগাতি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
দড়িমুকুন্দ গ্রামের বকুল হোসেন, আবু বকর, জুলফিকার আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, একইগ্রামের এক কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আল হেলাল দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাতেও আল হেলাল ওই কিশোরীর ঘরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। ঘটনাটি জানতে পেরে গ্রামবাসী তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হলে অস্বীকৃতি জানায় এই আওয়ামী লীগ নেতা।
একপর্যায়ে থানায় সংবাদ দেয়া হলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক বসান। সেখানে ৪০ হাজার টাকা ওই কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করেন এবং তাৎক্ষণিক তা আদায় করে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এমনকি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হলেও ওই কিশোরীর পরিবারকে মাত্র ১৮ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকি টাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা পকেটে ভরে থানায় চলে যান বলে তারা অভিযোগ করেন।অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আল হেলাল ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজী হননি।তবে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসা করা হয়। এছাড়া ছেলের বিরুদ্ধে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। যে কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন